Breaking News

গাজায় খাবার নিতে গিয়ে ইসরায়েলি গুলিতে ১১ ফিলিস্তিনি শহিদ

 

দখলের কৌশল হিসেবে গাজা সিটিতে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী হামলা আরও জোরদার করেছে। শেষ ২৪ ঘণ্টায় শুধু এই সিটিতেই নিহত হয়েছেন ৪৭ জন। আর পুরো উপত্যকাজুড়ে শনিবার নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৭ জনে। এ সময়ে শুধু ত্রাণের খবার নিতে গিয়ে ইসরায়েলি গুলিতে কমপক্ষে ১১ জন বেসামরিক ফিলিস্তিনি শহিদ হয়েছেন। 

হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালদের দেওয়া সর্বশেষ বিবৃতির বরাতে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা রোববার (৩১ আগস্ট) এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।

আল-আহলি হাসপাতালের একটি চিকিৎসা সূত্র আল জাজিরাকে জানিয়েছে, শনিবার একদিনেই গোটা গাজায় ৭৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। শুধু গাজা নগরীতেই নিহত ৪৭ জন। এর মধ্যে অন্তত ১১ জন নিহত হয়েছেন রুটি সংগ্রহের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায়।

অন্যদিকে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় আবাসিক ভবনে হামলায় সাতজন নিহত হন। ধ্বংসস্তূপে উদ্ধারকাজ চালাতে দেখা গেছে স্বেচ্ছাসেবকদের।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি অবরোধজনিত ক্ষুধা ও অপুষ্টিতে অন্তত ২ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে একটি শিশু রয়েছে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, ১৮ মার্চ থেকে ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি ও বন্দী বিনিময় চুক্তি ভেঙে তাদের সামরিক অভিযান পুনরায় শুরু করার পর থেকে ১০ হাজার ৯০০ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৪৫ হাজার ৮৭৬ জন আহত হয়েছেন।

এদিকে, ইসরায়েলি বাহিনী মানবিক সহায়তা নিতে আসা বেসামরিক নাগরিকদের ওপরও হামলা অব্যাহত রেখেছে। মন্ত্রণালয়ের মতে, ২৭ মে থেকে মানবিক সহায়তা নিতে গিয়ে ২ হাজার ১৬০ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১৫ হাজার ১৯৭ জন আহত হয়েছেন।

এর আগে, শুক্রবার গাজায় দুর্ভিক্ষের বিষয়টি প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করেছে জাতিসংঘ। সংস্থাটির খাদ্য নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ সংস্থা ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেইজ ক্লাসিফিকেশন (আইপিসি) তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, যুদ্ধবিধ্বস্ত উপত্যকার পাঁচ লাখের বেশি মানুষ এখন ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও মৃত্যুর ঝুঁকিতে।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের অক্টোবরে হামাসের যোদ্ধারা ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যা এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করে। এর জবাবে গাজায় ইসরায়েলের অভিযানে এখন পর্যন্ত ৬১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং গাজায় চলমান এই মানবিক সংকট তৈরি হয়েছে।

No comments