কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী মাছ ধরার হাতিয়ার দারকি





নিয়ামুল ইসলামঃ দিন যত যাচ্ছে তত আধুনিকতার ছোঁয়া পাচ্ছে মানুষ। এমনি একটি বিষয় নিয়ে কথা বলবো আজকে। মাঝি পাড়ায় যখন নজর পড়লো দেখলাম তাদের দিন যাচ্ছে খুব কষ্টে। তাদের মাছ ধরা একটি হাতিয়ার দারকি এক ধরনের মাছ ধরা ফাঁদ। যেটার একটা সময় ছিলো খুব কদর। যা আজ কালের বিবর্তনে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। আধুনিকতার ছোঁয়া আজকে বাজারে বিভিন্ন মাছ ধরার উপায় ও মাধ্যম পাওয়া গেছে, আধুনিক ফিশিং নেট, কারেন্ট জাল, জালিকৃতি বাঁধ, বিষ প্রয়োগ, ও জলাশয়ের সংকটের কারণে এখন আর আগের মতো দারকি দিয়ে মাছ ধরা প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে গ্রামীণ এলাকার নতুন প্রজন্মের অনেকেই এই পদ্ধতির সঙ্গে পরিচিত নয়।


স্থানীয় প্রবীণ রকি মিয়া বলেন, দারকি দিয়ে মাছ ধরা একটি মজা আছে। যা বর্তমান ছেলেরা বুঝবে না এমন কি দারকি দিয়ে কি ভাবে মাছ ধরতে হয় বলতেও পারবে না। কিন্তু একসময় আমি আমার বাবার সাথে এই দারকি দিয়ে মাছ ধরছি। আগে বর্ষায় প্রতিটি ঘরে ঘরে দারকি থাকতো সন্ধ্যায় রেখে আসতাম খুব ভোরে উঠাতাম অনেক মাছ ধরতো। 


দারকি বিক্রেতা ধিরেন্দ্রনাথ দাস বলেন, জীবিকার তাগিদে বিক্রি করতে হয়। তবে আগে বিক্রি বেশি হতো সপ্তাহে ১৬ থেকে ২০ টা বিক্রি করা যেতো এখন মাসেও এতো গুলো বিক্রি হয় না। কারণ মানুষ চায় চায়না জাল। খুব সহজে দ্রুত সময়ে তৈরি হয় আর দারকি সময় বেশি লাগে সব মিলেয়ে মানুষ আগ্রহী কম।


কপাল দা বলেন, আমাদের একমাত্র বিক্রি করার হাতিয়ার হচ্ছে দারকি যা বাপ দাদার থেকে শিখা বিক্রি হলে ভালো ভাবে চলতে পারি না হলে কষ্টে দিন পাত যায়। আমাদের আবদার থাকবে এই ঐতিহ্য মাছ ধরার হাতিয়ার টা বিলুপ্ত করবেন না।

Post a Comment

Previous Post Next Post