রাজারহাটে জমি লিখে দিতে অস্বীকার করায় ষাটোর্ধ বৃদ্ধাকে মারধর
রাজারহাট(কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধি:
রাজারহাটে ষাটোর্ধ বৃদ্ধার জমি জোরপূর্বক লিখে নিতে বসতবাড়িতে হামলা চালিয়েছে প্রতিপক্ষরা।
হামলা চালিয়ে ষাটোর্ধ বৃদ্ধা ও পরেশ চন্দ্র রায়কে তুলে নিয়ে যায় প্রতিপক্ষরা।
জমি লিখে দিতে অস্বীকার করায়
প্রতিপক্ষের দলগত এলোপাতাড়ি মারধরে রক্তাক্ত আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন পরেশ চন্দ্র রায়।এঘটনায় জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯-এর কলে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পৌছান রাজারহাট থানা পুলিশ।ঘটনা স্থল থেকে বৃদ্ধা সুরোবালা ও তার ভাতিজা পরেশ চন্দ্রকে উদ্ধার করে রাজারহাট থানা পুলিশ।ঘটনার সত্যতা পেয়ে অভিযুক্ত সুবিত কে সাথে সাথে আটক করে পুলিশ।
গত বৃহস্পতিবার(৪-সেপ্টেম্বর)
বিকেল আনুমানিক ৪টার দিকে উপজেলার চাকিরপশার ইউনিয়নের ঠাটমারি (দিনোবাজার)এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
নির্যাতনের শিকার বৃদ্ধা সুরোবালা অভিযোগ করে বলেন,প্রতিবেশী উৎপল চন্দ্র রায়,পংকজ চন্দ্র রায়, শেফালী রাণী ও তার স্বামী প্রদীপ চন্দ্র রায়সহ তাদের পরিবারের লোকজন দীর্ঘদিন ধরে তাদের জমি জবরদখলের চেষ্টা করে আসছে। এরই জেরে ঘটনার দিন তারা কয়েকজন সহযোগীকে নিয়ে সুরোবালার বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গোপন কক্ষে আটকিয়ে রাখেন।পরে সুরোবালার কাছে জোরপূর্বক জমি লিখে নিতে স্টাম্পে স্বাক্ষর নেয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে বৃদ্ধাকে মারধর করেন ও জানে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।পরে বাড়ি ও বাগান দখলের উদ্দেশ্যে বেড়া দেওয়ার চেষ্টা চালানো হয়।
বৃদ্ধা আরও বলেন,এসময় আমার ভাতিজা পরেশ চন্দ্র রায় বাধা দিলে তাকেও মারধর করে টেনে-হিঁচড়ে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে আমার সাথে আটকে রাখে।
এ খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে বৃদ্ধার নাতি জামাই মনোরঞ্জন জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করলে রাজারহাট থানা অফিসার ইনচার্জ(ওসি)মোঃ নাজমুল আলম ঘটনাস্থল থেকে বৃদ্ধা ও তার ভাতিজা পরেশ চন্দ্রকে উদ্ধার করেন।আহত পরেশ চন্দ্রকে পরবর্তীতে চিকিৎসার জন্য কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ঘটনাস্থলে গ্রেফতার সুবিত চন্দ্র রায়কে নিয়মিত আইনে মামলা রুজু করে কারাগারে পাঠিনো হয়।
রাজারহাট থানা অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মো: নাজমুল আলম বলেন আমি নিজেই ঘটনাস্থলে যাই সুবিত চন্দ্র রায়কে গ্রেফতার করে নিয়মিত আইনে মামলা রুজু বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করি।বাকি আসামীদের গ্রেফতারের তৎপরতা অব্যাহত আছে।
No comments