অতসী মন্ডল, উলুবেড়িয়া, হাওড়া: দূর্গাপূজার দীর্ঘ ছুটি কাছাকাছি, কিন্তু পরীক্ষা চাপ আর অন্যান্য কারণে আনন্দ ভবন ডেফ এন্ড ব্লাইন্ড স্কুলের আবাসিক ছাত্রছাত্রী দেবকুমার দাস, অচিন্ত্য মাহাতো, শুভজিৎ গোলে, সুস্মিতা বাগ, তিয়াস প্রামানিক ও সৃষ্টি মণ্ডলের মন ছিল কেমন যেন ভারাক্রান্ত। কেউ দৃষ্টিহীন, কেউ বা বধির; তাই বাড়িতে দুর্গাপূজা উদযাপন করতে পারা তাদের জন্য কঠিন ছিল। গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী রান্না পূজা মিস হওয়ার খবরে হতাশা ছড়িয়েছিল, যা শুধু ছাত্রছাত্রীদের নয়, অভিভাবকদেরও মনে উদ্বেগের ছাপ ফেলে।
তবে এই পরিস্থিতিতে এগিয়ে আসে স্কুল কর্তৃপক্ষ। সকাল থেকেই শুরু হয় রান্না পূজার আয়োজন। ভাত, করলাভাজা, ডাল, আলুভাজা, কলাভাজা, বরবটি ভাজা, চিচিঙ্গা ভাজা, ওলভাজা, কুমড়ো ভাজা এবং কাতলা মাছের কালিয়া ও চালতার চাটনি—সবই প্রস্তুত করা হয় বিশেষ যত্নে। ডাইনিং হলের চেয়ার-টেবিল সরিয়ে বসানো হয় কলাপাতা, আর থালার বদলে ব্যবহৃত হয় পাতা।
ছেলেমেয়েরা স্কুলের এই আয়োজন দেখে আনন্দে মুখর। শ্রবণ প্রতিবন্ধী সুস্মিতা বাগ ইঙ্গিত করে জানায়, “রান্না পূজায় বাড়ি যেতে পারব না শুনে খুব মন খারাপ হচ্ছিল।” কিন্তু বন্ধুদের সঙ্গে একসঙ্গে উৎসব উদযাপন করে তার মন ভরে যায়। অভিভাবক তুষার কান্তি প্রামানিক বলেন, “মেয়েকে ছেড়ে রান্না পূজা হওয়ায় প্রথমে কিছুটা মন খারাপ ছিল, তবে বিদ্যালয়ের আয়োজন দেখে সবটা কেটে গেছে।