বাগেরহাট-৩ (রামপাল-মোংলা) আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে সবচেয়ে আলোচিত ও জনপ্রিয় মুখ হয়ে উঠেছেন কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম। সুদূর রামপালের রাজনগরের এক সম্ভ্রান্ত শিক্ষক পরিবারের সন্তান শামীম ছাত্রজীবন থেকেই মেধাবী, প্রতিভাবান ও অদম্য সাহসিকতার জন্য পরিচিত ছিলেন।
সময় প্রবাহে রাজনীতির মাঠে সক্রিয় হয়ে বিএনপির আস্থাভাজন সৈনিক হিসেবে তিনি হয়ে ওঠেন রাজপথের দুর্বার লড়াকু নেতা। ছাত্ররাজনীতিতে তার উজ্জ্বল ভূমিকা, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার স্নেহময় সান্নিধ্য এবং বিএনপির সহ-প্রচার সম্পাদক ও সহ-দপ্তর সম্পাদক হিসেবে দক্ষ দায়িত্ব পালন তাকে দলের শীর্ষ পর্যায়ে দৃঢ় অবস্থান এনে দিয়েছে।
৩৯ বছরের রাজনৈতিক জীবনে শামীমুর রহমান শামীম বারবার কারাবরণ, রিমান্ডে নির্যাতন ও রাজপথে রক্তাক্ত অবস্থায় গুলিবিদ্ধ হওয়ার মতো ঘটনা সহ্য করেছেন। তবুও তিনি গণমানুষের অধিকার আদায়ে অটল থেকেছেন। ব্যক্তিগত জীবনে বড় ত্যাগ স্বীকার করলেও, পরিবারের জানাজায় অংশগ্রহণের সুযোগ না পেলেও রাজপথ ছেড়ে যাননি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন ছাড়াও তিনি জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন এবং আরাফাত রহমান কোকো ক্রীড়া সংসদের কার্যক্রমের মাধ্যমে এলাকায় মসজিদ, মাদ্রাসা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ, ছাত্রদের বৃত্তি প্রদান, কৃষকদের সহায়তা এবং অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল থাকলেও রামপাল-মোংলায় নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ রাখতে সক্ষম হয়েছেন তিনি। রামপাল উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোঃ হাফিজুর রহমান তুহিন বলেন, “কৃষিবিদ শামীমের পদার্পণে রামপাল বিএনপি প্রাণ ফিরে পেয়েছে। তার নেতৃত্বে সামনে ভালো কিছু হবে।”
মোংলা উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোঃ আব্দুল মান্নান হাওলাদার বলেন, “কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম ভাইয়ের জন্য জীবন দিতেও প্রস্তুত আছি। তিনি দুই উপজেলার সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা।”
অঙ্গ সংগঠনের নেতারাও জানিয়েছেন, শামীমুর রহমান শামীমের নেতৃত্বে তারা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে প্রস্তুত। স্থানীয় ভোটারদের আশা, শিল্পনগরী রামপাল-মোংলা আর অবহেলিত থাকবে না যদি তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
নিজের অবস্থান নিয়ে কৃষিবিদ শামীম বলেন, “তারেক রহমান যেভাবে আদর্শবান, সৎ ও ত্যাগী নেতৃত্ব খুঁজছেন, আমিও সেই কাতারে নিজেকে নিয়ে যেতে চাই। জনগণের অধিকার আদায়ে সারাজীবন কাজ করে যেতে চাই।”
সবশেষে তিনি জানান, “আমি দীর্ঘদিন ধরে এলাকার মানুষের সঙ্গে আছি। বিএনপির প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে অংশগ্রহণ করছি। আমাকে সুযোগ দিলে রামপাল-মোংলার মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করে যাবো।”