পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় খাদিজাতুল কোবরা হাফেজিয়া মাদ্রাসার এক ছাত্রী ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার অভিযোগ উঠেছে চাচাতো নানার বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন ওই ধর্ষিতার নানি মোছা. হাসনা খাতুন। পরে ২০ সেপ্টেম্বর রাতে ওই ধর্ষককে আটক করে তেঁতুলিয়া মডেল থানা পুলিশ। রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কোর্টে চালান করেন।
ঘটনাটি ঘটেছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার তিরনইহাট ইউনিয়ন ঠুনঠুনিয়া গ্রামে। ধর্ষক জামাল (৩৫) একই এলাকার আলী হোসেনের ছেলে।
মামলা সূত্রে ও বাদী জানা যায়, জামাল সম্পর্কে তার চাচাতো নানা। আজ থেকে ৬ মাস পূর্বে নানার বাড়ীতে ফ্রিজের মাংস আনতে যায় নাতনি। ধর্ষকের বাড়ীতে কেউ না থাকাই একা পেয়ে জোরপূর্বক তার নাতনিকে ধর্ষণ করেন। পরে লজ্জায় প্রথমে কাউকে জানাননি। তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পরে এলাকাবাসীর মধ্যে বিষয়টি জানাজানি হলে সমাধানের চেষ্টা হয়। পরে ধর্ষক ওই নাবালীকা বিয়ে না করে অপহরণ করে অন্য জায়গায় লুকিয়ে রাখেন। নানান জায়গায় খোঁজ করেন তার পরিবার।
তার নানা জানান, আমার বাড়িতে আমার নাতনি মানুষ হয়েছে। তিনি এখান থেকে মাদ্রাসায় পড়াশোনা করতো। তার চাচাতো নানা যে অপরাধ করেছে তার বিচার হওয়া উচিত। তিনি যে এমন কাজ করবেন তা স্বপ্নেও ভাবিনি। মেয়েটার জীবনটাই ধ্বংস করে দিল। আমরা ওই ধর্ষকের কঠিন বিচার চাই।
তেঁতুলিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আবু মুসা মিয়া জানান, গত ১৭ জানুয়ারীতে ধর্ষণ হয় পরে তাকে অপহরণ করে অন্য জায়গায় রাখে। গতকাল রাত ১ টার সময় বাদিনী তার নানি একটা মামলা দায়ের করেন। পরক্ষণেই ধর্ষককে গ্রেফতার ও ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়। মামলা তদন্তধীন।
Tags
সারাদেশ